শান্তর বিদায়ে ভাঙল জুটি !
মাহমুদুল হাসান জয়কে নিয়ে সাবধানী ব্যাটিংয়ে দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন নাজমুল শান্ত। দুজনের ব্যাটে এই ম্যাচে নিজেদের প্রথম পঞ্চাশ ছোঁয়া জুটিও পায় বাংলাদেশ। তবে এরপর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি বাংলাদেশ অধিনায়ক। মহারাজের বলে এলবিডব্লিউয়ের শিকার হয়ে ২৩ রানে বিদায় নেন তিনি।

২০ ওভারে বাংলাদেশের রান ৩ উইকেটে ৬৯।
৫ রানে খেলছেন মুশফিক। ৩২ রানে আছেন মাহমুদুল হাসান জয়।
রাবাদার জোড়া আঘাতে সাজঘরে সাদমান-মুমিনুল
২০২ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু
করা বাংলাদেশ ৪ রানেই হারিয়েছে ২ উইকেট। সাদমানকে (১) ফেরানোর ৩ বল পরই মুমিনুলকে(০)
ফেরালেন কাগিসো রাবাদা।
৩০৮ রানে থামল দক্ষিণ আফ্রিকা, লিড ২০২
৬ উইকেটে ১৪০ রান নিয়ে দিন শুরু করেছিল
দক্ষিণ আফ্রিকা। বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল দ্রুত প্রোটিয়াদের অলআউট করা। কিন্তু সপ্তম
উইকেটে ভেরেইনা-মুল্ডারের রেকর্ড জুটি (১১৯ রান) গড়ে দ্রুতই লিড বাড়িয়ে নেয় সফরকারীরা।
এরপর পিটের সঙ্গে ৬৬ রানের জুটি গড়েন ভেরেইনা। শেষ পর্যন্ত টিকে ভেরেইনা পেয়েছেন ক্যারিয়ারের
দ্বিতীয় সেঞ্চুরির দেখা। ৩০৮ রানে অলআউট হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা থামে ২০২ রানের লিড নিয়ে।
মিরপুর টেস্টের দ্বিতীয় দিনের শুরুটা
ভালো হয়নি বাংলাদেশর। লাঞ্চের আগে পরপর দুই বলে মুল্ডার-মহারাজকে ফেরালেও এরপর বাংলাদেশের
মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে ওঠে ভেরেইনা ও মুল্ডার জুটি। সপ্তম উইকেটে এই জুটির রেকর্ড রানে
বড় সংগ্রহের পথে এগোতে থাকে প্রোটিয়ারা। দলীয় ২২৭ রানে পরপর দুই বলে মুল্ডার ও মহারাজকে
ফেরান হাসান মাহমুদ। মুল্ডারের সঙ্গে ১১৯ রানের জুটি গড়েন ভেরেইনা। এরপর ডেন পিটের
সঙ্গে গড়েছেন ৬৫ রানের জুটি। ২ চারে ৮৭ বলে ৩২ রান করেন পিট। তার বিদায়ে ভাঙল ৬৬ রানের
নবম উইকেট জুটি।
এই দুই জুটিতেই ম্যাচ অনেক পিছিয়ে পড়ে
বাংলাদেশ। ৮ চার ও ২ ছক্কায় ১৪৪ বলে ১১৪ রান করেন ভেরেইনা। ৮৮.৪ ওভারে ৩০৮ রানে অলআউট
দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম ইনিংসে তাদের লিড ২০২ রানের। বাংলাদেশের পক্ষে তাইজুল ইসলাম
নেন ৫ উইকেট। এছাড়া হাসান মাহমুদ ৩ ও মেহেদী হাসান মিরাজের শিকার ২টি।